নতুন ওয়েটল্যান্ড ভাইরাস
বিজ্ঞানীরা চীনে ওয়েটল্যান্ড ভাইরাস নামে একটি নতুন ভাইরাস আবিষ্কার করেছেন, যা টিক্স দ্বারা বাহিত হয়। তারা মানব স্বাস্থ্যের উপর এর সম্ভাব্য প্রভাব সম্পর্কে উদ্বিগ্ন কারণ এটি গুরুতর স্নায়বিক (মস্তিষ্ক-সম্পর্কিত) জটিলতা সৃষ্টি করতে পারে।
আবিষ্কার এবং প্রাথমিক মামলা
ওয়েটল্যান্ড ভাইরাসের প্রথম কেসটি 2019 সালের জুনে পাওয়া গিয়েছিল যখন উত্তর চীনা জলাভূমি পার্কে একটি 61 বছর বয়সী লোক টিক্স দ্বারা কামড়ানোর পরে খুব অসুস্থ হয়ে পড়েছিল। তার জ্বর, মাথাব্যথা এবং বমির মতো গুরুতর লক্ষণ ছিল। এই কেসটি বিজ্ঞানীদের ভাইরাসটি আরও তদন্ত করতে পরিচালিত করেছিল।
ওয়েটল্যান্ড ভাইরাসকে অর্থোনাইরোভাইরাস হিসাবে শ্রেণীবদ্ধ করা হয়, এক ধরণের ভাইরাস যা প্রায়শই টিক কামড়ের মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। এই বৈজ্ঞানিক শ্রেণীবিভাগ গবেষকদের বুঝতে সাহায্য করে যে এটি কোন গ্রুপের ভাইরাস এবং এটি কীভাবে আচরণ করতে পারে।
লক্ষণ ও প্রভাব
চীনে অন্তত 17 জনকে কামড় দেওয়া হয়েছে যাদের ওয়েটল্যান্ড ভাইরাসের লক্ষণ দেখা গেছে। এই লক্ষণগুলির মধ্যে রয়েছে জ্বর, মাথা ঘোরা, মাথাব্যথা, ক্লান্তি (অস্বস্তি), জয়েন্টে ব্যথা (বাত), পিঠে ব্যথা, বমি বমি ভাব।
অধ্যয়নগুলি দেখায় যে ভাইরাসটি মস্তিষ্কের টিস্যুর ক্ষতি করতে পারে এবং রক্ত জমাট বাঁধতে সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে, এটি একটি গুরুতর স্বাস্থ্য উদ্বেগ তৈরি করে। ভেড়া, ঘোড়া, শূকর এবং ইঁদুরের মতো প্রাণীতেও ভাইরাসটি পাওয়া গেছে। এটি পরামর্শ দেয় যে ভাইরাসটি বিভিন্ন প্রজাতির মধ্যে ছড়িয়ে পড়তে পারে, বন্যপ্রাণীতে এর বিস্তৃত সংক্রমণের সম্ভাবনা নিয়ে উদ্বেগ বাড়ায়।
রোগীর পুনরুদ্ধার
যদিও ভাইরাসটি মারাত্মক হতে পারে, সংক্রমিত রোগীরা সুস্থ হয়ে উঠেছেন। বেশীরভাগ মানুষ চিকিৎসা গ্রহণের পর 4 থেকে 15 দিনের মধ্যে হাসপাতাল ত্যাগ করতে সক্ষম হয়। এটি আশা দেয় যে ভাইরাসটি পরিচালনা করা যেতে পারে, তবে আরও গবেষণা প্রয়োজন
ওয়েটল্যান্ড ভাইরাসের আবিষ্কার টিক-বাহিত রোগের প্রতি মনোযোগ দেওয়ার গুরুত্ব তুলে ধরে। যেহেতু বিজ্ঞানীরা এর উত্স এবং প্রভাবগুলি অধ্যয়ন চালিয়ে যাচ্ছেন, তারা কীভাবে এই ভাইরাসগুলি মানব স্বাস্থ্য এবং প্রাণী জনসংখ্যা উভয়কেই প্রভাবিত করতে পারে সে সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধির আহ্বান জানাচ্ছেন।